Breaking Ticker

প্রতিদিন Gita পড়লে কর্ম জীবনে কি কি উন্নতি হয় ?

গীতা পড়ো, গীতা শোনো, গীতার অমৃতসুধা করো পান।

গীতা প্রসাদে পাবে তুমি, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ ভগবান।।


নমস্কার বন্ধুরা, sanatan sikkha র আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করবো gita নিয়ে। প্রতিদিন Gita পড়লে কর্ম জীবনে কি কি উন্নতি হয় ? আপনাদের মনে যদি এইরকম প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনারা সঠিক পোস্টটি পড়ছেন। এই পোস্টটি পড়লে হয়তো আপনারা gita সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আসুন তাহলে শুরু করি......

Gita
Gita 

গীতার সারাংশ :

প্রতিদিন Gita পড়লে কর্ম জীবনে কি কি উন্নতি হয় ? এই কথাটি জানার আগে আমরা গীতার সারাংশ জেনে নিবো।


যা হয়েছে, তা ভালোই হয়েছে

যা হচ্ছে, তাও ভালোই হচ্ছে

যা হবে তাও ভালোই হবে।।

তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছো ?

তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যে তুমি হারিয়েছো ?

তুমি কি সৃষ্টি করেছো, যা নষ্ট হয়ে গেছে ?

তুমি যা নিয়েছো, এখন থেকেই নিয়েছো

যা দিয়েছো, এখানেই দিয়েছো।।

তোমার আজ যা আছে,

কাল তা অন্য কারো ছিল,

পরশু তা অন্য কারো হবে,

পরিবর্তনই সংসারের নিয়ম।।


প্রতিদিন Gita পড়লে কর্ম জীবনে কি কি উন্নতি হয় ?

Gita শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, গীতা হলো স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূখ নিঃসৃত বানি। তাই গীতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বলা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেই, প্রতিদিন Gita পড়লে কর্ম জীবনে কি কি উন্নতি হয় ?


১ - Gita তে যেমন রয়েছে সাঙ্খযোগ, ও ভক্তিযোগের কথা, তেমনই গীতাতে রয়েছে, কর্মযোগ ও জ্ঞানযোগের কথাও। গীতার এই যোগগুলোর কথায় রয়েছে একটি মানুষ জীবনের সম্পূর্ণ জ্ঞান, ভক্তি ও কর্মের কথা। যেটা অনুসরন করে মানুষেরা তাদের কর্মজীবনকে উন্নত করে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। মানে পরিষ্কার কথায় বলতে গেলে, একটি মানব জীবনকে সম্পূর্ণভাবে উন্নত করে কিভাবে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার খোঁজ রয়েছে এই গীতাতে।


২ - Gita অসহায় মানুষদের সাথে সাথে বেঠিক পথে চলা মানুষদের সঠিক পথে চলার নির্দেশ দেয়। শুধু তাই নয়, গীতায় যে জ্ঞানযোগ ও কর্মযোগের কথা রয়েছে তাতে শুধু জ্ঞান পাওয়া যায় না, জ্ঞানের সাথে সাথে মেলে কর্মজীবনেরও অনুপ্রেরণা। এবং gita জ্ঞানে মানুষের মন শুদ্ধ হয়।


৩ - প্রতিদিন Gita পাঠ করলে মানুষ তার কর্মে অনুপ্রাণিত হয়। কাদের কোন কাজটি করা উচিত এবং কাদের কোন কাজটি করা উচিত নয়, সেই কথাও বলা হয়েছে গীতাতে। এর সাথে বলা হয়েছে, স্বধর্ম আর পরোধর্মের কথা। স্বধর্মের সাথে যুক্ত হয়ে কর্ম করাই শ্রেষ্ঠ। আর পারোধর্ম গ্রহন করা যে কতটা ভয়ঙ্কর, সেই কথাও বলা হয়েছে গীতাতে। যেটা প্রতিটি মানুষের কর্ম জীবনের জন্যে অত্যন্ত দরকারি একটি বিষয়।


৪ - Gita তে পাওয়া যায় একটি মানব জীবনের চাওয়া সব রকমের প্রশ্ন ও তার উত্তরের কথা। আর তাই যে কোন পরিস্থিতিতে, যে কোন বিপদে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপদের সাথে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার কথাও রয়েছে গীতাতে।


৫ - Gita আসলে কি জানেন, মহাভারতের যুদ্ধের সময় অর্জুন তার বিরুদ্ধে নিজেদের লোকদের দেখে যুদ্ধ করতে চাইনি। তার হতাশা দূর করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অনেক কিছু বলেছিলেন এবং বুঝিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুনের কথোপকথনের মধ্যে ছিল অনেক প্রশ্ন ও তার উত্তর। যার মধ্যে ছিল স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখের বানী । আর এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখের বানীই হলো গীতা। তাই কি তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বলা হয়ে থাকে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথনের মধ্যে যে সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর ভেসে ওঠে  তার মধ্যে রয়েছে  জীবনের সব রকমের দুঃখ এবং হতাশা ঘুচিয়ে এগিয়ে চলার পথ। প্রতিদিন গীতা পাঠ করলে জীবনীশক্তিও পাওয়া যায়।


 মহাভারতে কর্নের বধ কিভাবে হয়েছিল ?


উপসংহার :

এতক্ষণ আপনারা পড়লেন প্রতিদিন Gita পড়লে কর্মজীবনে কি কি উন্নতি হয়? আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের মনে যদি কোন রকমের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে  অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আজ তাহলে এইটুকুই। ফিরে আসবো খুব তাড়াতাড়ি অন্য আরেকটি পোস্ট নিয়ে। ধন্যবাদ, জয় গীতা।।


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.